ইসরাইলে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি হুতিদের
- By Jamini Roy --
- 17 December, 2024
ইসরাইলে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা। গতকাল সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। হুতিদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি টেলিভিশনে এক বিবৃতিতে বলেন, ইসরাইলের মধ্যাঞ্চল লক্ষ্য করে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘ফিলিস্তিন ২’ সফলভাবে নিক্ষেপ করা হয়েছে।
হুতিদের দাবি, ইসরাইলের গাজায় ‘হত্যাযজ্ঞের’ জবাব দিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। তাদের ঘোষণায় আরও বলা হয়, যতদিন গাজায় যুদ্ধ চলবে, ততদিন ইসরাইলের ওপর এমন হামলা অব্যাহত থাকবে। এ ধরনের আক্রমণের মাধ্যমে গাজা উপত্যকায় চলমান সংকটে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, ইয়েমেন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরাইলের আকাশসীমায় ঢোকার আগেই ভূপাতিত করা হয়েছে। সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, "ক্ষেপণাস্ত্রটি ধ্বংস করার প্রক্রিয়ায় এর টুকরো পড়ে যাওয়ার শঙ্কায় সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।"
এই হামলার পর ইসরাইলের সবচেয়ে বড় শহর তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্র সতর্কতা জারি করা হয়। তেল আবিবজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, যদিও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
হুতিরা তাদের ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণকে ‘সফল অভিযান’ বলে উল্লেখ করেছে। তবে তারা হামলার ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি। হুতিরা অতীতে লোহিত সাগরে ইসরাইলগামী জাহাজে আক্রমণ এবং মাঝেমধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
ইসরাইলের বিরুদ্ধে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের দাবি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই ধরনের অস্ত্রের গতি ও ক্ষেপণক্ষমতা সাধারণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চেয়ে অনেক বেশি উন্নত। হুতিদের দাবি যদি সত্যি হয়, তবে এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সামরিক বাস্তবতা তৈরি করতে পারে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত এই সংঘাতে ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি মানুষ। গাজা উপত্যকায় বেসামরিক হতাহতের পাশাপাশি মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
হুতিদের হামলা ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকটকে আরও জটিল করে তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের আক্রমণ আঞ্চলিক উত্তেজনাকে বাড়াবে এবং সংঘাত নিরসনের প্রচেষ্টাকে আরও দুরূহ করে তুলবে।
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে। ইয়েমেনের হুতিদের মতো গোষ্ঠীগুলোর সামরিক কার্যক্রম এবং ইসরাইলের প্রতিক্রিয়া আঞ্চলিক নিরাপত্তায় নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।